করোনা মোকাবিলায় ২০ লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করল নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) ।প্যাকেজে জমি, শ্রমিক, অর্থের যোগান ও আইন- সবকিছুর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের জন্যও। যা কয়েক কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহের আধার।
করোনা ও লকডাউন উভয় কারনে বিপুল ক্ষতির মুখে ভারতের অর্থনীতি। বেশিরভাগ শিল্পই ধুঁকছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই শিল্পের জন্য ত্রাণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছিলেন, সোমবার জাতীয় হাইওয়ে ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরি।
সোমবার, মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি , ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তেলেঙ্গানার শিল্প ও বাণিজ্য সদস্যদের সাথে কথোপকথনের সময় বলেন, “প্রায় 2 থেকে 3 দিনের মধ্যে সরকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে।”।
কিছুদিন আগে, প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রক (এমএসএমই) এবং অর্থ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন শিল্পের পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে জোর দেন। এজন্য তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ওফ রুরাল ডেভলপমেন্ট এর মতো প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নাগরিক বিমান, শ্রম ও জ্বালানি সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের সাথেও বৈঠক করেছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যে পরিকল্পনা জানিয়েছেন তারই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। অসংগঠিত খাতটি দেশের শ্রমশক্তির ৮০ শতাংশ। সংগঠিত খাতে কর্মরত ৬০% শ্রমিক এমএসএমই খাতে রয়েছেন। এই দুটি ক্ষেত্রই লকডাউনের কারণে বড় ধাক্কা খেয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় প্যাকেজে সরকার বড় শিল্পের চেয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং অন্যান্য দুর্বল অংশগুলিতে বেশি মনোনিবেশ করবে।
প্রথম পর্বের লকডাউনেও গরিব মানুষদের অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি দিতে পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা এর আওতায় গোটা দেশ জুড়ে ৩১.৭৭ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে মোট ২৮২৫৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থমন্ত্রকের তরফে জানা যাচ্ছে যে, কেন্দ্র সরকার ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার রিলিফ প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ৷ গরিব, বিধবা মহিলা,বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি-সহ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আগামী তিন মাসের জন্য কিছু টাকা ট্রান্সফার করবে ৷
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের দফতরের এক আধিকারিক ট্যুইটে সোমবার জানিয়েছে, ডিজিটাল ইনফোস্ট্রাকচারের কারনেই অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজে মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যে ১৯.৮৬ কোটি মহিলার জনধন অ্যাকউন্টে ৫০০ টাকা করে ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷ এই খাতে মোট ৯৯৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে ৷ পাশাপাশি ণশাপ এর তথ্য অনুযায়ী, ২.৮২ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৪০০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে ৷
প্রবীণ নাগরিক, বিধবা মহিলা ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা ট্রান্সফার করে করেছে সরকার ৷ এছাড়াও দেশের কৃষক দের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এর আওতায় ১৩৮৫৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা প্রত্যেকে ২০০০ টাকা পেয়েছে।