ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা। গোটা বিশ্ব এখন মারণ করোনার সেকেন্ড ওয়েভের প্রহর গুণছে। প্রথম দফাতে গোটা বিশ্বজুড়ে কার্যত ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েছে। মারণ করোনা দ্বিতীয় দফায় কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা ভেবেই আতঙ্কিত মানুষজন। কবে এই মারণ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে তার কোনও সঙ্কেত এখনও পাওয়া যায়নি। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ।
কিন্তু নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনেই যে মারণ করোনাকে মারা যাবে সেই হদিশ এখনও দিতে পারেনি কোনও দেশই। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, খুব শীঘ্রই হয়তো মারণ করোনার ছবল থেকে রক্ষা করা যাবে বিশ্বের মানুষকে। বিশেষ করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র একটি গবেষণা অন্তত সেটাই বলছে।
তাঁদের মতে, আগামী অক্টোবরেই আত্মপ্রকাশ করবে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। তবে সবকিছু যদি ঠিকঠাক চলে তাহলেই। ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড তাঁদের সম্ভাব্য চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।
তবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ন্যাজাল স্প্রে বা ইনহেলার হিসেবে দেওয়া হলে আরও ভালো কাজ করবে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকরা। আর সেই লক্ষ্যেই এখন কাজ করছেন তাঁদের গবেষকরা। অক্সফোর্ডের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে কয়েক দফাতে।
সম্প্রতি শিম্পাঞ্জিদের উপর এই ভ্যাকসিন ট্রাই করা হয়েছে। তাতে ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অন্তর্গত জেনার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আদ্রিয়ান হিল জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ছবি পরিষ্কার হবে।
তাঁর আশা, আগামী অগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বরেই হয়তো ভালো কিছু শোনা যাবে। আর তা শোনা গেলে অক্টোবর থেকেই হয়তো ভ্যাকসিনের ডেলিভারি শুরু হয়ে যাবে বলে আশা দিচ্ছেন হিল। তাঁর এই মন্তব্য, নতুন করে সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে আশার আলো তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, করোনা মারণ প্রথম শুরু হয় উহান থেকে। সেখানে গত কয়েকমাস নতুন করে সংক্রমণের খবর শোণা যায়নি।