গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক আর ভারত ও বাদ যায়নি এই আতঙ্কের হাত থেকে। যেখানে দেশ জুড়ে এই মরন ভাইরাস করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি একপ্রকার তলিয়ে গেছে সেখানে RTI এর এক উত্তরে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল রিজার্ভ ব্যাংক।আর এই তথ্য রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো কারণ এই তথ্য অনুযায়ী জানতে পারা গেছে দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপকারীদের প্রায় 68 হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ঋণ খেলাপীর মধ্যে যুক্ত রয়েছে এমন কিছু ব্যক্তির নাম যাদের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে এখনো পর্যন্ত তদন্ত চলছে।
সাকেত গোখলে নামের এক RTI কর্মী দেশের শীর্ষ ৫০ জন ঋণখেলাপির নাম এবং তাঁদের বর্তমান ঋণের পরিমাণ জানতে চেয়ে একটি RTI ফাইল করেন। যার উত্তরে শীর্ষ ব্যাংক জানিয়েছেন, “শীর্ষ ৫০ জনে ঋণখেলাপির কাছে ৬৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা পাওনা আছে ব্যাংকগুলির।” এই তালিকায় সবার উপরে আছে বিতর্কিত অলংকার ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) নাম। স্রেফ চোকসির ৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা মকুব করেছে আরবিআই। দ্বিতীয় স্থানে REI Agro’র দুই ডিরেক্টর সঞ্জয় এবং সন্দীপ ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁদের মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছে। আরেক অলংকার ব্যবসায়ী যতীন মেহেতার প্রায় ৪ হাজার ৭৬ কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে। তালিকায় আছে বাবা রামদেব (Ram Dev) এবং আচার্য বালাকৃষ্ণর সংস্থা রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডও। তাঁদের প্রায় ২ হাজার ২১২ কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে।
RTI কর্মী সাকেত গোখলে বলছেন, “গত বাজেট সেশনে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী আনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) কাছে এই তথ্য জানতে চান। কিন্তু তখন তারা এই তথ্য দিতে চাননি। আমাকে এই তথ্য দিল রিজার্ভ ব্যাংক” এক টুইটে সাকেত বলছেন, “৫০ জন ব্যবসায়ীর মোট ঋণখেলাপির পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি। যা কিনা বিশ্ব ব্যাংক থেকে ভারত যে টাকা করোনার জন্য ধার নিয়েছে তার ৮ গুণ। ভারত করোনা রুখতে যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার ৩০ শতাংশ। ৪৫ হাজার কোভিড টেস্টিং কিটের দামের সমান।”
This is why Finance Minister @nsitharaman tried to escape from a straight & clear question asked by Rahul Gandhi.
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) April 28, 2020
Sadly – the truth can never stay hidden too long.
Massive kudos to RG for calling the govt’s bluff way back in March!
PS: Here’s the list if anyone missed it 😊 https://t.co/OA4moYdTYz pic.twitter.com/JsaoBewhBT
আর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা REI Agro এর দুই ডিরেক্টর পদে থাকা সঞ্জয় এবং সন্দীপ ঝুনঝুন ওয়ালা তালিকা থেকে মোট 4 হাজার 314 কোটি টাকা ঋণ মুকুব করা হয়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা আরো এক অলংকার ব্যবসায়ী যার নাম যতীন মেহেতার তার কাছে থেকেও প্রায় 4 হাজার 76 কোটি টাকা মকুপ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় অন্যদিকে লিকার ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া র নাম রয়েছে এই তালিকায়, তার লাটে ওঠা বিমান পরিবহন সংস্থা কিং -ফিশারের 1 হাজার 983 কোটি টাকা ঋণের অর্থ মুছে ফেলা হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয় এই তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বাবা রামদেব আচার্য বালাকৃষ্ণ সংস্থা রুচি সোয়া ইন্ডাজি লিমিটেড। তাদের ক্ষেত্রেও প্রায় 2 হাজার 212 কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে। সাকেত গোখলে নামক এই RTI কর্মী জানিয়েছেন গত বাজেটে যখন কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধী, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কাছে সেই তথ্য জানতে তখন তারা নাকি সেই তথ্য তাকে দিতে চাননি। এইদিন টুইট করে সাকেত জানিয়েছেন, মোট 50 জন ব্যবসায়ী ঋণ খেলাপির পরিমাণ 68 হাজার কোটি টাকা।