দেশকে করোনা মুক্ত করতে নিজের জিভ কেটে মা কালীকে উৎসর্গ করলেন যুবক। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, বিবেক শর্মা নামের ওই যুবক মা কালীর সন্তুষ্টি কামনায় এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
দিন যতি এগিয়ে যাক, কুসংস্কার যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এবার তাজ্জব করে দেওয়ার মত কাণ্ড ঘটল মধ্যপ্রদেশে। দেশকে করোনা মুক্ত করতে নিজের জিভ কেটে মা কালীকে উৎসর্গ করলেন মধ্যপ্রদেশের এক পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, বিবেক শর্মা নামের ওই শ্রমিক মা কালীর সন্তুষ্টি কামনায় এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ঠিক ১৮ কিমি দূরে গুজরাতের নাদেশ্বরী গ্রাম। সেখানেই কাজ করতে দু’মাস আগে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলা থেকে এসেছিলেন বিবেক শর্মা নামে ওই যুবক। স্থাপত্যের কাজের জন্য সুইগামের ভবানী মাতা মন্দিরে কাজ করছিলেন বিবেক। তাঁর সঙ্গেই কাজ করছেন আরও আট জন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বিবেকের ভাই শিবম। বিবেকের সহকর্মী ব্রিজেশ জানিয়েছেন, বিবেক মা কালীর ভক্ত। প্রায় দিনই মা কালীর নাম করে চিৎকার করত সে। পাশাপাশি, লক ডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে না পাড়ায় উতলা হয়ে উঠেছিলেন। ব্রিজেশ জানান, “শনিবার বাজার যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন ও ফিরছে না দেখলাম, তখন শিবমকে ফোন করতে বললাম। তখনই অন্য একজন ফোন ধরে বিবেকের জিভ কেটে ফেলার কথা জানান।” এরপরই নাদেশ্বরী মন্দিরে বিবেকের ভাই-সহ অন্যান্য সহকর্মীরা গিয়ে দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় তিনি হাতে জিভটি নিয়ে বসে রয়েছেন।
এদিকে, বিবেককে ওই অবস্থায় দেখে মন্দিরের পূজারী তড়িঘড়ি বিএসএফকে ফোন করে খোঁড় দেন। তারপরই বিবেককে থারাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন বিবেক। সুইগামের পুলিশ সাব-ইনস্পেক্টর এইচডি পারমার জানান, বিগত কিছু দিন ধরেই বিবেক মধ্যপ্রদেশে তাঁর বাড়ি ফিরতে চাইছিল। কিন্তু লক ডাউনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে অবসাদ কাজ করছিল। সেখান থেকেই আজকে নিজের জিভ কাটার মত ঘটনা ঘটাতে পারে সে। তবে বিবেক সুস্থ হওয়ার পরই ঘটনার কী কারণে সে এমন কাণ্ড ঘটাল, তা জানা যাবে।”