মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১।
মঙ্গলবার ভোররাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন তিনি।
প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোররাতে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। রাত ৩টে ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে।
‘দাদার কীর্তি’ দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় তাপস পালের। এরপর ‘অনুরাগের ছোয়া’, ‘সুরের আকাশ’, ‘চোখের আলো’-সহ একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি এক সময় রাজনীতিতেও হাজির হন তাপস পাল। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ায়, একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েন টলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
২০০৯ সালে চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ে তাপস পালের। ওই ঘটনার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের ততকালীন সাংসদ। চিটফান্ড কাণ্ডে তাপস পালের নাম জড়ানোর পর রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী পাল। যদিও দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বেরে সিবিআইয়ের কবজা থেকে মুক্তি পান তাপস পাল। তারপর থেকেই ক্রমশ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেন তিনি।