নৈহাটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে মতুয়াদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নাগরিকত্ব কার্ড দেওয়ার নামে মতুয়াদের কাছ থেকে টাকা তুলছে বিজেপি। লোকসভায় মতুয়াদের একটা বড় অংশের ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেই ভোট ধরে রাখতে এদিন বিজেপিও পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেছেন,”উদ্বাস্তুদের ভোটার করে ভোট নিয়েছেন কিন্তু নাগরিকত্ব দেননি। মতুয়াদের জন্য ওনার দরদ নেই। ” মতুয়াদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি করেছেন রাহুল সিনহা।
তবে সব কিছু ছাড়িয়ে এদিন ফের একবার ‘আমরা-ওরা’র কৌশলে মমতাকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,”ধর্মতলায় আন্দোলন করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার বন্ধ না হলে বাস-ট্রেন বন্ধ করে দেব। শাক, সবজি, চাল, ডাল, নুন- সব বন্ধ করে দেব। মমতা বিধানভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এসব বলছেন কেন দিলীপবাবু? ওদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমি বলি, দিদি এতই ভাব আপার সঙ্গে আপনার তো ওখানকার সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বন্ধ করতে বলুন। ওখানকার হিন্দুর জন্য দরদ নেই। বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকের উপরে দরদ আছে।
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ”মতুয়াদের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবে রূপায়িত করেছেন নরেন্দ্র মোদী। মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্ব না পেয়েছে দোরে দোরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কেউ তাঁদের আর্তনাদ শুনতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদী তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেই নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য রাস্তায় মিছিল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটি, হালিসহর এলাকায় বহু উদ্বাস্তু পরিবারের বাস। তাদের স্পটলাইটে রেখে নয়া নাগরিক আইনের সমর্থনে বাংলায় বাড়ি বাড়ি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। পাল্টা রণকৌশলে অঙ্ক কষে আক্রমণ করেন মমতা। দাবি করেছেন, বারবার বলার পরেও কেন্দ্র না শোনায়, বাংলায় যত উদ্বাস্তু কলোনি আছে, রাজ্য সরকার একাই সবগুলিকে চিহ্নিত করেছে।