রাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। কারণ তাঁদের না আছে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা না আছে পিপিই যা তাঁদের সাংঘাতিক সংক্রামক এই রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। এর ফলে অসুবিধায় পড়ছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন কোনও না কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা একযোগে অস্বীকার করছেন কাজ করতে। থাকতে চাইছেন না নাইট ডিউটিতেও। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।
বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ঠিক এইভাবেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন। তাঁর বক্তব্য নিয়মিত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যসরকারের কাছে থেকে শুনছেন সঠিক চিকিৎসা ইত্যাদির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কই? চিকিৎসকরা লড়ে যাচ্ছেন তাঁদের সাধ্যমত। কিন্তু তাঁদের কাছে যদি লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকে তাহলে কীভাবে কাজ করবেন তাঁরা?
শুধু তাই নয় একজন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে সব চিকিৎসককে স্বাভাবিকভাবেই চলে যেতে হচ্ছে আইসোলেশনে। তাঁর বক্তব্য এভাবে চললে এর পরে আর চিকিৎসা করার লোক থাকবে না। এর কারণ একটাই। টেস্ট হচ্ছে না যথেষ্ট। সেই কারণেই একজন সম্ভাব্য রোগীর সংস্পর্শে আসছেন এতজন চিকিৎসক। পুরো বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশ রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তাঁদের দাবি আইসিএমআর এই মুহূর্তে ২০ টি ল্যাবভাড়া নিয়ে রেখেছে করোনা পরীক্ষার জন্য। এদের পরীক্ষা করার আনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা অত্যন্ত কম হচ্ছে। শুধু তাই নয় করোনায় মৃত্যু চিহ্নিত করতে যে আমলাতান্ত্রিক নিয়ম চালু হয়েছে তারও বিরোধিতা করেছেন চিকিৎসকরা।