ট্রাম্প বর্তমানে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের একমাসের প্রস্তাব বিবেচনা করছেন। এতে, সেই ছাত্ররা রয়েছেন যারা পিপলস লিবারেশন আর্মির কিছু স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় সহ একটি চুক্তিবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সাথে সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধ এবং করোনার ভাইরাস মামলায় তথ্য গোপন করার অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নতুন খবরটি হ’ল আমেরিকা সেখানে পড়াশোনা করা হাজার হাজার চীনা শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে পারে।
চার মার্কিন কর্মকর্তা এটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ট্রাম্প বর্তমানে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাহারের এক মাসব্যাপী প্রস্তাব বিবেচনা করছেন। এতে, সেই ছাত্ররা রয়েছেন যারা পিপলস লিবারেশন আর্মির কিছু স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় সহ একটি চুক্তিবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। অর্থাৎ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চীনের সাথে চুক্তি করে বহিষ্কার করার প্রস্তুতি চলছে।
আমেরিকার (United States) বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত চীনা পড়ুয়ারা এবার প্রবল সংকটের মুখে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের পরবর্তী নিশানা হতে চলেছে মার্কিন বিদ্যালয়ে পাঠরত চীনা বিদ্যার্থীরা, এমনটা শোনা যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁদের সেখান থেকে বহিস্কার করা যেতে পারে।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনকে দোষারোপ করেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। সুপার পাওয়ার আমেরিকা তাই এবার আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চীনা পড়ুয়াদের বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
কর্মহীন বিশ্বের বিরাট সংখ্যক
চীনের উহানের করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যতটা না শারীরিক দিক থকে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাঁর থেকে বেশি মানসিক দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ছে। বাড়তে থাকা এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিরাট সংখ্যক মানুষ।
কোণঠাসা চীন
সংক্রমণের দিক থেকে চীন, ইরান এমনকি তুরস্ককেও হার মানিয়ে নবম স্থানে পৌঁছেছে ভারত। ক্রমশই বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা। সমগ্র বিশ্বের সাথে চীনের সম্পর্ক শত্রুতায় পরিণত হয়েছে। দূরের দেশ তো ছাড়, প্রতিবেশি বন্ধু দেশও আজ এই ভাইরাসের কারণে চীনের বিপক্ষে চলে গেছে। সমগ্র বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ভাইরাসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিশ্ববাসী। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারংবার এই ভাইরাসের ফলে মারাত্মক ক্ষতির জন্য জিনপিং সরকারকে দোষারোপ করেছে।