গোটা বিশ্ব জুড়ে মরন ভাইরাস করোনার দ্রাপট, আর এই মরণ ভাইরাস করোনার জেরে গোটা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 48 লাখেরও বেশি, শুধু তাই নয় এই ভাইরাসের জেরে প্রাণ হারিয়েছে গোটা বিশ্বে 3 লাখ 16 হাজার 732 জন। আর ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মরন ভাইরাস করোনার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার 278 জন, যাদের মধ্যে এখনো করোনা Active রোগীর সংখ্যা রয়েছে 47,894 জন, তাছাড়া এই ভাইরাসে জেরে ভারতে প্রাণ হারিয়েছে 2442 জন।
আর এরকম এক পরিস্থিতিতে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না WHO-এর তরফ থেকে। হু এর তরফ থেকে এরকম এক পরিস্থিতিতে দৈনিক বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। তাই বলা যেতে পারে WHO-এর ডিরেক্টর- জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) করোনা রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। তবে এখানেই শেষ নয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা তো দূরের কথা এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা সবসময় লক্ষ্য করা গেছে চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে। তবে এবার সে বিষয়ে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশ্বের প্রায় 62 টি দেশ এই প্রশ্নের জবাব চাইছে WHO এর কাছ থেকে।
আর ভারত ও তার নিজের ভূমিকা থেকে পিছুপা হল না এবার ভারতও এই 62 টি দেশের ন্যায় WHO এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি হু এর 73 তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সভা আজ থেকে শুরু হতে চলেছে। আর এই বার্ষিক বৈঠকেই সব দেশগুলি একত্রে হু-এর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ, স্বতন্ত্র আর ব্যাপক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। যদিও এইবার প্রথম হবে যখন ভারত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর অধিকারীক ভাবে হু এর বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছে। যদিও এর আগে থেকেই অন্যান্য দেশ গুলি WHO কে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হওয়া উচিত বলে দাবি জানিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ভারত যে এই ঘটনার তদন্ত চায় সেটা মার্চ মাসে হওয়া জি-২০ এর সন্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আংশিক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। উনি WHO তে সংশোধন, পারদর্শিতা আর জবাবদিহি নির্ধারিত করার জন্য প্রাথমিকতার উপর জোর দিয়েছিলেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, এই সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ উঠে আসছে। তাজা তথ্য ঘটনা অনুযায়ী, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ডক্টর ঝাং নানশান (Zhong Nanshan) বলেছিলেন যে, স্থানীয় আধিকারিকরা করোনার সাথে জড়িত প্রাথমিক তদন্ত লুকিয়েছ। যদিও চিনের কমিউনিস্ট সরকার তথ্য লোপাটের অভিযোগ প্রথম থেকেই খারিজ করে আসছে।
করোনা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এর আগেও WHO আর WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানোমের বিরুদ্ধে চিনের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কারণ ইথোপিয়ার প্রাক্তন মন্ত্রী ২০১৭ সালে চিনের সমর্থনেই WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন।