স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন ভারতের (INDIA)মাটিতে এত কিছু হয় যার মর্ম যুবকরা বুঝলে ভারতকে বিশ্বগুরু করা খুবই সহজ। তবে দুঃখের বিষয় এই যে আজ ভারত স্বাধীন হওয়ার পরেও স্বামী বিবেকানন্দের কথা মতো চলতে শেখেনি। এখনও ভারতীয়রা সকালে ব্রাশ করা থেকে শুরু করে দুপুরে কোল্ড ড্রিঙ্কস ও সন্ধেয় বার্গার খেয়ে অন্যদেশকে শক্তিশালী করতে ব্যাস্ত। কারণ সকাল থেকে রাত অবধি ব্যাবহার করা বেশিরভাগ বস্তুই বিদেশি।
বিদেশী ব্রান্ডের জিনিস ছেড়ে দেশীয় প্যান্ট বা ধুতি স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার সাথে সাথে দেশের টাকা দেশে রাখতেই সাহায্য করে। একইভাবে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার পরিবর্তে আখের রস খেলে স্বাস্থ্যের সাথে সাথে দেশের গরিব কৃষক মজবুত হতে পারবে। তবে এসমস্ত কথা শুনলে বেশিরভাগ ভারতীয় মুখ বেঁকিয়ে পলায়ন করে। তবে জানিয়ে রাখা ভালো, আজ অবধি বিশ্বে যত দেশ আর্থিক মহাশক্তি হয়েছে সবকটি স্বদেশীর উপর ভর করে। এমনকি আমেরিকা, চীনও স্বদেশীকে প্রমোট করে বিশাল GDP এর ধারক হয়েছে। শুধু এই নয় ভারত অতীতে যখন সোনার পাখি হিসেবে পরিচিত পেত তথা বিশ্বগুরু ছিল তখনও ভারত স্বনির্ভরতার উপর ভর করে চলত।
The way ahead lies in LOCAL.
Local Manufacturing.
Local Markets.
Local Supply Chain.
Local is not merely a need but a responsibility.
Be vocal about local! #AatmanirbharBharat pic.twitter.com/eYqt5IDtBp— Narendra Modi (@narendramodi) May 12, 2020
এখন ভারতকে মহাশক্তি হতে হলে সেই পথেই চলতে হবে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। স্বদেশী ছাড়া মহাশক্তি হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আজ লকডাউন সম্পর্কিত ভাষণ দিতে গিয়ে আবারও দেশবাসীকে বড় ইঙ্গিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সাথে সাথে বার বার একটা বিষয়ের উপর বড় জোর দিয়েছেন।
স্মরণ করিয়ে দি, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ফান্ডে দান করার ক্ষেত্রে দেশের কোম্পানিগুলি এগিয়ে এসেছে। অন্যদিকে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকা কামান সাবান কোম্পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস কোম্পানি, সিগরেট বিক্রি করা বিদেশী কোম্পানিগুলো ১ আনাও দান করেনি। তাই দেশের জনগণকে এবার বিদেশী পণ্য ছেড়ে স্বদেশীর ঝুঁকতে হবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।