খুদে পড়ুয়াদের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের নজির থাকলেও এই পদ্ধতি যে একেবারেই নতুন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে বই পড়ার থেকে সেই জিনিস প্রত্যক্ষ করলে অনেক বেশি কিছু শিখতে পারে খুদেরা। সেই ভাবনাকেই মাথায় রেখে অ্যানাটমির মতো কঠিন বিষয় শিশু শিক্ষার্থীদের বোঝাতে এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করলেন এই শিক্ষিকা। আর এর জন্য তিনি নিজেই পরে ফেললেন অ্যানাটমি পোশাক।
জানা গিয়েছে, মাঝে মাঝেই শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য নতুন নতুন শিক্ষা পদ্ধতি অবলমন করেন স্পেনের এই শিক্ষিকা। ভেরোনিকা ডোকিউ নামের ওই শিক্ষিকা গত ১৫ বছর ধরেই শিক্ষকতার সাথে যুক্ত। এমনকি এই পেশায় যথেষ্ট সুনামও রয়েছে তাঁর। স্পেনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। মূলত ইতিহাস, বিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা, স্পেনিশ ও ইংরেজি পড়ান তিনি।
পড়ানোর সময় তিনি নানা ধরনের যেসব অভিনব ভঙ্গি অবলম্বন করেন তাঁর মধ্যে অন্যতম, অ্যানাটমি বিষয়ের প্রতি পড়ুয়াদের আকর্ষন বাড়াতে বিশেষ পোশাক পরে ক্লাসে আসা। এই পোশাকে পাকস্থলি, ফুসফুস,হৃতপিন্ড থেকে শুরু করে দেহের অন্তর্বর্তী সমস্ত ছোট বড় অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি রয়েছে। যা দেখে এক নজরে শিশুরা মানব দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে একটা ধারনা তৈরি করতে পারে। সেই সঙ্গে ভেরোনিকাও সমস্ত অঙ্গের সাথে পড়ুয়াদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকেন।
স্ত্রীর এই অভিনব পড়ানোর ভঙ্গি দেখে বেশ আপ্লুত হন ভেরোনিকার স্বামী মাইকেল। এদিন নিজের স্ত্রীর এই পোশাক পরা ছবি তুলে তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এই ছবির ক্যাপশনে ভেরোনিকার স্বামী লেখেন, “আজ স্কুলে মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে ব্যখ্যা করছিল ভেরোনিকা। ওকে স্ত্রী হিসাবে পেয়ে আমি গর্বিত।“ ছবিটি ট্যুইটারে পোস্ট করার সাথে সাথেই ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। এমনকি ভেরোনিকার এমন শিক্ষন পদ্ধতিকে প্রশংসাও করেন নেটিজেনরা।