আবার ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড প্রকল্প নিয়ে নতুন সংঘাতের রিসাদার দেখা গেল বাংলা (West bengal) সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গে ৩ মাস মুসুর ডাল দেওয়া হবে। এখন প্রতি মাসে রাজ্যে মুসুর ডাল লাগে ১৪, ৪৩০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ৩ মাসে মোট ডাল লাগবে ৪৩,২৯০ মেট্রিক টন। কিন্তু ন্যাফেড এখনও পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ১৩,২৭০ মেট্রিক টন।” তিনি জানান, “যতক্ষণ না পুরো পরিমাণ ডাল পাচ্ছি, ততক্ষণ ডাল সরবরাহ করতে পারব না।”
‘খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু রয়েছে’- খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
কেন্দ্রের ঘোষিত ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ নেই। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, আমরা এই প্রকল্পটায় নেই। আজ থেকে ৬-৭ মাস আগেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের রাজ্যে আগে থেকেই খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু রয়েছে। তাই এখানে আলাদা করে কিছু করার নেই। বর্তমানে খাদ্যসাথীতে ৯ কোটি মানুষ উপভোক্তা। তাই সীতারামণের কথা কতটা প্রযোজ্য হবে, তা জানি না।”
‘কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণ মুসুর ডাল পাঠাচ্ছে না’- খাদ্যমন্ত্রী
একইসঙ্গে এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফের রাজ্যে কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণ মুসুর ডাল পাঠাচ্ছে না বলে তোপ দাগেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গে ৩ মাস মুসুর ডাল দেওয়া হবে। এখন প্রতি মাসে রাজ্যে মুসুর ডাল লাগে ১৪, ৪৩০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ৩ মাসে মোট ডাল লাগবে ৪৩,২৯০ মেট্রিক টন। কিন্তু ন্যাফেড এখনও পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ১৩,২৭০ মেট্রিক টন।” তিনি জানান, “যতক্ষণ না পুরো পরিমাণ ডাল পাচ্ছি, ততক্ষণ ডাল সরবরাহ করতে পারব না।
”‘মস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের আগামী দু’মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবারহ’- অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
প্রসঙ্গত, এদিন ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ চালুর কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অগাস্ট থেকে চালু হবে এই প্রকল্প। এতে ২৩ টি রাজ্যের রেশন উপভোক্তাদের ৮৩ শতাংশ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন নির্মলা সীতারমণ আরও ঘোষণা করেন, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের আগামী দু’মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবারহ করা হবে। রেশন কার্ড নেই এমন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যও মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি গম বা চাল এবং পরিবার পিছু ১ কেজি ডাল দেওয়া হবে। তাঁরাও ২ মাস এই পরিষেবা পাবেন।