রাজ্যের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশিত হল ৪ মে’র। বুলেটিনে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের(শুধু করোনা)।
আজই কেন্দ্র থেকে বিস্ফোরক চিঠি পাঠানো হয়েছিল নবান্নে, তাতে জানানো হয়েছিল রাজ্য যে অসচ্ছ তথ্য দিচ্ছে তা ঠিক নয়। মুখ্য সচিব এবং সাস্থ সচিবের তথ্যের মধ্যে বিপুল ব্যাবধান। এদিকে রাজ্যের মৃত্যুরেট সব রাজ্যের থেকে বেশি। রাজ্য সরকার তারপরেই নতুন বিবৃতি দিল!
কার্যত তথ্য গোপনের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, “আমাদের কাছে সব জায়গা থেকে তথ্য আসছিল না।
এখন সরকারি, বেসরকারি সব ল্যাব থেকে তথ্য আসা শুরু করেছে। ফলে এখন আমরা রোজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা জানাতে পারব। এরই পরই তিনি জানান, এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ১ হাজার ২৫৯ জন কোভিড ১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৯০৮ জন রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাশাপাশি গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন বলেও জানান তিনি। মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। সুতরাং এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মোট ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে(শুধু করোনায়)। অন্যদিকে অডিট কমিটি ৩০ এপ্রিল জানিয়েছিল যে আরও ৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী কো-মর্বিডিটির কারণে মারা গিয়েছেন।
করোনা থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন ২১৮ জন।
সরকারের এই বিবৃতির পরিষ্কার অর্থ হল, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৩২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬১ জনের মৃত্যুর কারণ নবান্নের মতে শুধু করোনা! অন্যদিকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ১১৬ জনের।
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে নজরবন্দি পোর্টালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল রাজ্যে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা; অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন; আজ রাজ্যসরকার ঘোষণা করার পর প্রমান হল হলুদ সাংবাদিকতার যুগে কিছু সংবাদমাধ্যম বেঁচে আছে যারা সত্যি কথা বলে!
রাজ্যে এখন সর্বমোট মোট আক্রান্ত
চিকিৎসাধীন আক্রান্ত ৯০৮
সরাসরি মৃত ৬১
করোনা সংক্রামিত কিন্তু মৃত্যু অন্য কারনে ৭২
সুস্থ ২১৮
সর্বমোট – ১২৫৯