হরিশ্চন্দ্রপুর অবাধ জমায়েত করার প্রতিবাদ করায় হাতুড়ে চিকিত্সকের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে লুটপাট করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি চোখের সামনে দেখে ওই হাতুড়েকে বাঁচাতে এসে প্রতিবেশী আরো তিনজন দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বাড়িও ভাঙ্গচুর করেছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের দল বলে অভিযোগ।এমনকি এলাকার একটি মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকে কয়েক হাজার টাকা, দেবীমুর্তির অলংকারও লুট করে দুষ্কৃতীরা, বলে অভিযোগ।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশালপুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। গতকাল রাত থেকেই ওই এলাকার দুটি গ্রামে পুলিশি প্রহরা মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। গ্রাম ব্যারিকেড করা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এই ঘটনার জেরে এলাকায় এখনো থমথমে হয়ে রয়েছে। অভিযোগ রবিবার সন্ধের পর আচমকা মাঠে জমায়েত হওয়ার পর বাসিন্দারা হ্যান্ডেল থেকে এলাকার বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারপর ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে ভবেশের দোকানে ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের একাংশ আচমকাই লাগোয়া মন্দিরের তালা ভেঙে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়।



মন্দিরের অলঙ্কার, দানবাক্সে থাকা ৩৫ হাজার টাকা লুঠ করে বলে অভিযোগ।বাড়ি লক্ষ করে ইটবৃষ্টিও চলতে থাকে! আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বাসিন্দারা। বিরাট পুলিশ বাহিনী এসেছে খবর পেয়ে বাসিন্দারা ঘরে ফেরেন। পুলিশ হুমকি দিয়ে ভাঙা মূর্তি বেদিতে তুলে দেয় বলেও অভিযোগ। রাতেই পুরো ঘটনার বিষয়টি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতেই টুইট বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। তিনি তাঁর টুইট বার্তায় সরাসরি রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে লিখেছেন যে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডিপুরের ঘটনাটি উদ্বেগজনক। সকলকে প্রতিহত করা উচিত। পুলিশ প্রশাসন কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না দেখেই তাদের বুদ্ধিমত্তা লাগিয়ে কাজ করুক। পাশাপাশি এব্যাপারে সমস্ত সম্প্রদায়ের নেতাদের এলাকার শান্তি স্থাপনের ব্যবস্থা করা উচিত।