এমন নাটকীয় ঘটনা বলিউডের সিনেমাতেও দেখা যায় না।ভারত ছেড়ে আমেরিকায় চলে গেলেন সানি লিওনি, কার্যত পালালেন! জন্মসূত্রে কানাডিয়ান এই প্রাক্তনপর্নস্টার প্রায় ৯ বছর ধরে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আমেরিকা ও কানাডার নাগরিক। সকলে তাঁর ভারত ছাড়ার
খবর জানতে পারেন, তিনি লস ত্যার্জেলিস থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে ছবি পোস্ট করার পর।
পর্ন দুনিয়া ছেড়ে মূল ধারায় নিলেও, করোনার দিনগুলিতে তিনি না। রবিবার ইনস্টাগ্রামে তিনি যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে সে ইঙ্গিত স্পষ্ট। সানি লিখেছেন, “জীবনে যখন সন্তানরা
থাকে, তখন নিজেদের পছন্দ আর অগ্রাধিকার পিছনের সিটে চলে যায়।
আমরা সুযোগ পেয়েছি সন্তানদের এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে যেখানে “করোনা ভাইরাস-এর মতো অদৃশ্য হত্যাকারীর কবল থেকে তাদের বেশি সুরক্ষিত রাখতে পারবো।’ এই বক্তব্যের পাশাপাশি একটি ছবিও দিয়েছেন সানি। দেখা যাচ্ছে, গাছে ঘেরা সুদৃশ্য বাগানের একটি সিঁড়িতে তিনি ও তাঁর সন্তানরা । সানির মন্তব্য, “বাড়ি থেকে দূরে লস
ত্যার্জেলিসের আর এক বাড়ির লুকোনো বাগানে আমরা। আমি জানি, আমার মাও ঠিক এটাই চাইতেন।’
প্রশ্ন একটাই। লকডাউনের মধ্যে কি ভাবে আমেরিকায় গেলেন সানি? উত্তর মিলেছে সানির বর ড্যানিয়েল ওয়েবারের কাছ থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ‘কেএলএম’এর
মাধ্যমে তাঁরা সপরিবার আমেরিকায়.
আমেরিকা বেশি সুরক্ষিত, এমন কথায় অনেকেই সানিকে কটাক্ষ করেছেন।
করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি আমেরিকায়।
লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতে সক্রিয় ছিলেন সানি। ‘লকডআপ উইথ সানি’ নামে একটি সিরিজও শুরু করেছিলেন। কী ভাবে লকডাউনে থেকেই শরীরচর্চ চালানো যায়_ এমনই সব টিপস দিচ্ছিলেন। এ সবের উিজ্ঞিছি. মধ্যে হঠাৎই আমেরিকা পাড়ি! _ টুইটার আপাতত দুটি বড় ফিল্ম হচ্ছে সানিকেনিয়ে। তামিল ছবি “বীরামাদেবী’র কিছু কাজ বাকি। সানি এই ছবির নায়িকা।
পাড়ি দেন, জানিয়েছেন ওয়েবার। লস ত্যার্জেলিস থেকে লিখেছেন, এ হল কোয়ারান্টিন পার্ট টু। এখন আর মন্দ লাগছে না। নতুন ছন্দে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি।” অর্থ ভারত ছেড়ে মার্কিনমুলুকে “বস্তিতে ড্যানিয়েলও।
সানির এই আমেরিকা পাড়ি পাঞ্জাবি ছবি ‘জাঠ ত্যান্ড জুলিয়েট” নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়। বিশেষ এর হিন্দি রিমেকও অসম্পূর্ণ এটিরও করে মেয়ে নিশা, দুই পুত্র-নোয় অন্যতম প্রধান চরিত্রে সানি। সেসব ছবির আর আশারের জন্য ভারতের চেয়ে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ।