করোনা মহামারীর আবহে বাংলায় রেশন নিয়ে কম অনিয়ম হয়নি৷ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল রেশন বণ্টনকে কেন্দ্র করে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত মাঠে নামতে বাধ্য হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরাসরকি আধিকারিকদের রেশন বণ্টন নিয়ে কড়া বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে রাতারাতি বদলি করা হয় রাজ্যের খাদ্যসচিবকে৷ রেশন বণ্টন নিয়ে লাগাতার অনিয়ম ও দুর্নীতির রোগ মুক্ত করতে এবার ৫ হাজার নতুন রেশন ডিলার নিয়োগ করতে চলেছে খাদ্য দফতর৷ নয়া ঘোষণা করেছেন খাদ্যমন্ত্রী৷
রাজ্যে নিয়োগ করা হবে নতুন ৫ হাজার রেশন ডিলার৷ দুর্নীতির অভিযোগে ৬৭৬ জন রেশন ডিলারকে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে খাদ্য দপ্তর৷ এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী৷ সেখানে দাবি করেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে ৬৭৬ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে৷ কাউকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷
কাউকে টার্মিনেট করে দেওয়া হয়েছে৷ কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যেদিন আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে ওই দোকান বন্ধ করা যায় না৷ সেই দোকান যদি বন্ধ করে দিই, তাহলে তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে আবার একজনকে রেশন রেশন তুলতে যেতে হবে৷ যাকে আমরা সাসপেন্ড করি, তাঁকে আমরা সরিয়ে কাছাকাছি যে রেশন দোকানদার আছেন, তাঁকে আমরা সেখানে ট্যাগ করে দিই৷ আমরা ৫ হাজার নতুন রেশন ডিলার নিয়োগ করব৷ আগামী এক বছরের মধ্যে ২ হাজার রেশন ডিলার নিয়োগ করা হবে৷’’
কিন্তু, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা মান কী হবে? কাঁরা সেই নিয়োগের সুযোগ পাবেন? সেই নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি৷ রেশনের মতো ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়ম লক্ষ্য করা যাবে না তো? প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷