BSK CENTER -কোভিড সঙ্কট আছে, আগামী কিছুদিন থাকবেও। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এর মোকাবিলা করতে হবে। তাই আনলক ১-এ সরকারি অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আর্থিক কর্মকাণ্ডে আমজনতার যোগদান নিশ্চিত করতে চাইছে নবান্ন। পাশাপাশি দূরত্ববিধিও যাতে রক্ষা পায় সেদিকটাও যতটা সম্ভব নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণে জেলাশাসকদের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র ‘
বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (BSK Center)খোলার নির্দেশ দিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। এই দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এমভি রাও সম্প্রতি জেলাশাসকদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। কেন এই উদ্যোগ? যে সব খবর, তথ্যের জন্য এখন সরকারি অফিসে যেতে হয় তার অনেকটাই আমজনতা এই সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে পেয়ে যাবেন। এতে সরকারি অফিসে ভিড় কমবে। এ ছাড়া মিলবে নানা পরিষেবাও।
BSK CENTER
সরকারি সূত্রের খবর, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যে ২৭৪৪টি সহায়ক কেন্দ্র খোলা হবে। জাতিগত শংসাপত্র, কর, ফি ইত্যাদির পাশাপাশি কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সামাজিক প্রকল্প-সহ সরকারের অনলাইন সমস্ত পরিষেবাই মিলবে এই কেন্দ্রে। ফলে গ্রামের মানুষকে অকারণে ভিড় করতে হবে না জেলা সদর, মহকুমাশাসকের দপ্তরেও। অর্থ দপ্তর এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পঞ্চায়েত দপ্তরকে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তিকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতেই এই কর্মসূচি স্থির করেছিল রাজ্য সরকার।
বিভাগীয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কোভিড পরিস্থিতির জেরে দ্রুত এই প্রকল্প রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য জেলাশাসকরা কর্মীর ব্যবস্থা করবে। প্রয়োজনে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করবে। তবে সহায়তা কেন্দ্রে পরিষেবা বিনামূল্যে নয়, সাধারণ মানুষকে ন্যূনতম ফি দিতে হবে।’
এক সরকারি কর্তা বলেন, এখনও সবার হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব এবং ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অথচ সাধারণ মানুষের যে তথ্যগুলি সরকারের ঘর থেকে নিতে হয়, তার নব্বই ভাগই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন দপ্তরের ওয়েবসাইটে সহজলভ্য। সেই কারণে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্য এই ধরনের সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।