৩ মাস ‘বন্ধ’ যুবশ্রী ভাতা! বিপাকে বাংলার কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী!

সারা বিশ্বে করোনা মহামারীর আকার ধারণ করছে। দিন যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি তত ভয়ানক হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে দেশের বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।  এই অবস্থায় গত ৩ মাস থেকে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যুবশ্রী প্রকল্পের উৎসাহ ভাতার আর্থিক অনুদান পাননি বলে অভিযোগ।

এই অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কর্মপ্রার্থী সমিতি। যার জেরে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সমিতির তরফ থেকে এই ভাতা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে  আবেদন করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কর্মপ্রার্থী সমিতির সহ-সম্পাদক তাজিবুল হক জানিয়েছেন, গত মাসে ডিরেক্টর অফিসিয়াল লাইনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, মার্চ থেকে আর্থিক বছরের পরিবর্তন হচ্ছে। লকডাউনের জেরে দেরি হচ্ছে।

আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের সবাই টাকা পেয়ে যাবেন বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাজিবুল হক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেই ভাতা আসেনি। ভাতা না আসায় ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দপ্তরে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে মেল করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনও উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

২০১৩ সালে বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিশেষ প্রকল্প চালু করে৷  নাম দেওয়া হয় যুবশ্রী৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসন্ধানী বেকারদের জন্য প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে প্রতি মাসে বেকার ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে৷

পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতির সদস্যদের মতে প্রকল্প ঘোষণার পর সাত বছর অতিক্রান্ত, কিন্তু এখনও এই প্রকল্প থেকে প্রায় বেশিরভাগ প্রার্থীদেরই কর্মসংস্থান হয়নি৷একই সঙ্গে সমস্ত যুবশ্রীদের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী উৎসাহ ভাতা ৫০০০ টাকা করা হোক বলেও তোলা হয়েছে দাবি৷

Authored By Kousik Mondal

Hi, I am Kousik Mondal from Kolkata, India. I am a professional career counselor for the past 5+ years. Love reading news and strongly believe only awareness can create a better future. And A blog scientist by the mind and a passionate blogger by ❤️heart ??

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button