'যারা বলছেন, আমরা আল্লার দয়ায় সুস্থ থাকবো, তারাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন'- দিলীপ ঘোষ

এদিন ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘রাজ্যে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নামে শুধু বোর্ড ঝোলানো হয়েছে।

দেশব্যাপী করোনা সংকটের মধ্যে ফের ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা দিলীপ ঘোষের। করোনার মধ্যে এবার জাতপাতকে ঢোকালেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় এক ত্রাণ বণ্টন অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘আল্লাহে যাঁদের ভরসা, তাঁরাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।’ সঙ্কটের এই মুহূর্তে দিলীপবাবুর এই মন্তব্যে তাঁর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তৃণমূলকে টক্কর দিতে করোনা নিয়ে দিন কয়েক হল ময়দানে নেমেছে বিজেপি। 

বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে ত্রাণ বণ্টন করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের। এদিন তেমনই এক কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপবাবু। আর সেখানে গিয়ে ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন বিতর্কের ‘ব্লু আইড বয়’।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিদেশ থেকে বহু মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঢুকছে। কিন্তু বিশেষ সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের কিছু বলা যাবে না। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঢুকে এখানে প্রবচন দিচ্ছেন, ধার্মিক আয়োজন করছেন। তার পরিণাম আমরা ভোগ করছি। এদের কড়াকড়ি করার সময় এসে গেছে।’ সঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওই যে নিজামুদ্দিন থেকে এসেছেন ৭৩ জন। তাঁরা বলছেন, আল্লাহের দয়ায় যাঁরা সুস্থ হয়ে যাবেন, তাঁরাই আজ আক্রান্ত হচ্ছেন।’

দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, মন্দিরে জমায়েত বন্ধ হলেও মসজিদে বন্ধ হচ্ছে না। এমনকী মসজিদগুলির থেকে করোনা ত্রাণে টাকা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘রাজ্যে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নামে শুধু বোর্ড ঝোলানো হয়েছে। সেখানে বেড পর্যন্ত নেই। তাই কোয়ারেনটাইন করার জন্য এখন জায়গা খুঁজতে হচ্ছে সরকারকে।’ লকডাউনের নিয়ম মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভাঙছেন বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল আরও কড়া হওয়া। তা না করে তিনি নিজেই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইটারে তোপ দাগেন দিলীপবাবু। লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু হল অজানা জ্বর। আর করোনা হল নিউমোনিয়া ও কিডনির সমস্যা।’

দিলীপবাবুর মন্তব্যের সমালোচনায় সরহ হয়েছেন অনেকে। তাদের দাবি, সঙ্কটের এই সময় জাতপাতের রাজনীতির বাইরে বেরনো উচিত ছিল বিজেপির। তা না করে পুরনো পথেই অনড় তারা।


Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button