যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীদের আর্তনাদের কথা বিস্তারিতভাবে ব্যক্ত করে স্মারকলিপি প্রদান

সমগ্ৰ পৃথিবী দেশ তথা রাজ্যের এমন এক সংকটকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে এবং এমন এক সময় যেসময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার চল্লিশ শতাংশ বেকার কমেছে বলে দাবি করে আসছেন বিগত কয়েকটি কর্মসুচিতে এমনকি ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ এ রাজ্য সরকার চল্লিশ শতাংশ বেকার কমেছে বলে দাবি করেছেন, কিন্তু আশ্চর্যের যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম”যুবশ্রী”প্রকল্প যার উদ্ধোধনী বক্তৃতায় তিনি এই নথিভুক্ত স্বীকৃত যুবকদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাস্তবায়নে সরকারের কাছে বারংবার পৌঁছে দিয়েও সরকার উদ্যোগ গ্ৰহন না করায় স্বীকৃত যুবশ্রী সদস্য সদস্যা রা সংগঠিত হতে বাধ্য হন।

এবং বিভিন্ন ভাবে তাদের দুরাবস্থার কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। লকডাউনে জনজীবণ বিপর্যস্ত এবং যান চলাচল অস্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও এই কঠিন মহামারী পরিস্থিতি একদিকে যেমন মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন,অন্যদিকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর 2013 সালের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুবশ্রীদের সরকারি শূন্যপদ গুলিতে নিয়োগ এর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী না হওয়ায় “অল বেঙ্গল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” রাজ্য কমিটির কর্মকর্তারা যুবশ্রীদের সুরাহার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন।

পূর্বপরিকল্পিত কর্মসুচি্র পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা কমিটির কর্মকর্তারা হাতে হাত মিলিয়ে জেলায় জেলায় একের পর এক স্মারকলিপি প্রদান করে চলেছেন। এমন ই এক কর্মসুচি সম্পন্ন হলো 12.08.2020 তারিখ রাজ্য কমিটির কর্মকর্তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই মহামারী পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, খুবই সীমিত সময়ের প্রস্তুতিতে, যুবশ্রী ভাই বোনেদের স্বার্থে পৌঁছে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়।

উক্ত স্থানে সাক্ষাৎ করেন মাননীয় আব্দুল মান্নান, (বিধায়ক এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা) মহাশয়ের সঙ্গে, উনার সঙ্গে স্বল্প সাক্ষাতের মধ্যেই যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীদের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। ঠিক একইভাবে সাক্ষাৎ হয় মাননীয় মিল্টন রশিদ (বিধায়ক)মহাশয় এর সঙ্গে, ওনাকেও যুবশ্রীদের দুরাবস্থার কথা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়।সংগঠনের রাজ্য কমিটির কর্মকর্তা অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুলফিকার রহমান, দিব্যেন্দু সিংহ রায় ইনাদের তত্ত্বাবধানে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সুরথ কুমার দাস , সদয় সরকার,গৌরী শংকর করণ,সম্রাট চৌধুরী,এবং আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রহনাতুল্লা ও কুন্তল মজুমদার ।

[adsforwp id=”3211″]

উপরিউক্ত কর্মকর্তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি পরিশ্রমের ফলস্বরূপ #ড: সুজন চক্রবর্তী মহাশয় (বিধায়ক, যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র) ওনাকে যুবশ্রী কর্মপ্রার্থীদের আর্তনাদের কথা বিস্তারিতভাবে ব্যক্ত করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। উনারা আমাদের বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এইভাবে রাজ্য কমিটির অনুপ্রেরণায় জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ একের পর এক মাননীয়/মাননীয়া -বিধায়ক এবং সাংসদ গণকে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করে চলেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button