লকডাউনের মতো কঠিন সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে রবিবারই একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছিল নবান্ন। তাঁদের জন্য কী কী ব্যবস্থা করতে হবে, সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছিল জেলাগুলিতে। সোমবার, নবান্নে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর আরও কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা। ১৩ এপ্রিল নয়, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে বহাল থাকবে লকডাউন।
নবান্নে এমনটা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে বহাল লকডাউন। আক্রান্তের সংখ্যা ২২ ছুঁয়েছে ২২। মারা গিয়েছেন ২ আক্রান্ত। সবমিলিয়ে করোটার কাঁটায় তটস্থ গোটা রাজ্য। পরিস্থিতির পর্যাচলোচনা করতে দফায় দফায় বৈঠক নবান্নে দলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজও নবান্নে একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখাই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাঁদের জন্য ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি হবে। সেখানে রান্না করা খাবারই দু’বেলা পাবেন ওই শ্রমিকরা। রেশন কার্ড নেই বলে সরকারি সুবিধা পেতে যাতে কারও অসুবিধা না হয়, তার জন্য অস্থায়ী রেশন কার্ড দেওয়া হবে।
যা দিয়ে তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাবেন। এছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে বাজার খোলা থাকবে, মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। দুধ, ছানার মতো প্রোটিন সংগ্রহের জন্য মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এতে দুধ ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন না। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনওভাবেই ওষুধের গাড়ি এবং মেডিক্যাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটকানো যাবে না। সোমবার নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জেলায় জেলায় চিকিৎসা পরিষেবা কেমন চলছে, করোনা মোকাবিলায় তারা কতটা প্রস্তুত, সব খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন জারি থাকলেও খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা। হাসপাতাল, বাজার, ব্য়াঙ্কের সমস্ত সুবিধাই পাবেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি মমতা জানিয়েছেন, এই লকডাউন চলাকালিন যাঁরা ভলান্টিয়ার করতে চান তাঁরা সংশ্লিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।